ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লুজ বা খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা

বাসা-বাড়ির জেনারেটর চালানোর জ্বালানি তেল কিনতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির অনুমতি লাগবে

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ১১-১১-২০২৩ ০৭:৩৪:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-১১-২০২৩ ১০:৩১:১০ পূর্বাহ্ন
বাসা-বাড়ির জেনারেটর চালানোর  জ্বালানি তেল কিনতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির  অনুমতি লাগবে ফাইল ছবি
পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল বা জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে, সে লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে। শনিবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবরোধ ও হরতালের নামে বিশেষ একটি মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহতকরণসহ নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলছে। চলমান নাশকতার সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যেন পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে নিতে না পারে সে লক্ষ্যে ডিএমপি এসব নির্দেশনা দিয়েছে।

১. পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সবধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবেন।

২. সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

৩. প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ওসি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

৪. নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫. প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন।

৬. সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/অপারেশনস্), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।

৭. পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন।

৮. রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সবধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

৯. লুজ বা খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা তবে বাড়ি, ফ্যাক্টরি ও প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।

১০. পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮ এর লাইসেন্সের শর্তাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।সি/২৪

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ